ঢাবি প্রতিনিধি: উচ্চমাধ্যমিক, আলিম ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিকনির্দেশনা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক (কায়েম)।
মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ শুভেচ্ছা ও পরামর্শ জানান।
সাদিক লিখেছেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক, আলিম ও সমমান পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছো সবাইকে জানাই ফুলেল শুভেচ্ছা। যদিও সবগুলো বিষয়ের মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি তারপরও এই মাইলস্টোনকে সেলিব্রেট করা জরুরী। মা-বাবা, শিক্ষক ও অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য অভিবাদন রইলো।’
‘অনেকের হয়তো কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসেনি। সবগুলো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে আরো ভালো একটা ফলাফল অর্জন করার সুযোগ ছিল। তবে নিরাশ হওয়ার কারণ দেখছি না। নিজেকে প্রমাণ করার প্রকৃত সময় এখনই। সামনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ। নিজের যোগ্যতা ও মেধার স্বাক্ষর সেখানেই রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজন নিজেকে আরো বেশি শাণিত করা।’
মাত্রাতিরিক্ত ইউফোরিয়া এবং ডিপ্রেশন কোনোটাই কাম্য নয় উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন ও ভরসা স্থাপন করে বাকি সময়টা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। ভর্তিযুদ্ধের এই সময়টা খুবই ক্রিটিক্যাল। আশা করবো কৌশল ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।’
উত্তীর্ণদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে সাদিক লিখেছেন, ‘পরবর্তী বাঁক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। দেশ এবং দেশের বাইরে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভর্তি হওয়া জরুরি। এর মাধ্যমে গড়ে উঠবে ফ্রেন্ড সার্কেল, সোশ্যাল ক্যাপিটাল। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস কিংবা সোশ্যাল সায়েন্সের শাখাগুলোতে তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী সাবজেক্টে ভর্তি হওয়ার জন্য তোমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকা দরকার। সার্কেল অনেকখানি জরুরি। আর বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদেরকে সেই সার্কেল দিতে পারে। এতে করে শুধু জীবনদর্শনই উন্নত হবে না বরং জীবনমানও উন্নত হবে।’
‘জুলাই ইনকিলাবের অন্যতম শরিক তোমরা। দেশকে ঢেলে সাজাতে হবে তোমাদেরই। আমরা দেখেছি কীভাবে রাজপথে আঠারো নেমে এসেছিলো। অন্যায়, অবিচার, দুঃশাসনসহ সকল অপনীতির বিরুদ্ধে তোমাদের অবস্থান ছিল দেখার মতো। বুলেটের সামনে বীরচিত্তে হিমালয়ের ন্যায় দাঁড়িয়েছিলে তোমরা। তোমাদেরকে নিয়েই আমাদের স্বপ্ন।’
‘উম্মিদ থাকবে সেই স্পিরিট ধরে রাখবে যুগ-যুগান্তর। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে আবারও নিজেদের উৎসর্গ করার মানসিকতা রেখো। আপোষহীন নীতি নৈতকতার পথ অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে হবে আরো বহুদূর। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এই পথচলায় তোমাদের সহযোগী হবে ইনশা আল্লাহ। যুগের হাল যে তোমাদের কাঁধেই। আল্লাহ তোমাদের সহায় হোক। আমিন।’