জার্মানির হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপপ্রাপ্ত বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হামবোল্ট ফেলোজ বাংলাদেশ (এএইচএফবি)’-এর বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভা আজ ১৬ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারস্)-এর সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত মি. আকিম ট্রোস্টার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এএইচএফবি-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, অসাধারণ মেধা, জ্ঞান ও গবেষণাকর্মের জন্য বিশ্বের স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ লাভ করে থাকেন।
এই ফেলোশিপপ্রাপ্ত বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সংগঠনটি দেশের বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই সংগঠনের মাধ্যমে জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত মি. আকিম ট্রোস্টার বলেন, যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং জার্মানির সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ভিত্তিক নতুন নতুন চিন্তাভাবনা, উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে এই সংগঠনের কার্যক্রম
আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী বিশেষ করে তরুণ গবেষকদের জন্য জার্মান সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সায়েন্টিফিক সেশন ও বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এএইচএফবি’র সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।