ব্যুরো চীফ, কুমিল্লা: সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল ও চলমান কোটা আন্দোলনকে ঘিরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবার সারাদেশের ন্যায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৫ টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই প্রতিবাদ মিছিল হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করারও দাবি জানান।
মিছিলটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে শুরু হয়ে নবাব ফয়জুন্নেছা হল ঘুরে শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলার স্থান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পে গিয়ে শেষ হয়। এই সময় শিক্ষার্থীরা তাদের উপর গতকাল পুলিশের হামলার প্রতিবাদে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে, হামলার স্থান আনসার ক্যাম্প এলাকার সড়ককে 'ছাত্র আন্দোলন চত্বর' হিসেবে ঘোষণা করে। এ সময় সেখানে স্মৃতিস্বরুপ বৃক্ষরোপন করা হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা 'আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই; মেধা না কোটা, মেধা মেধা; একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেক বার, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, সাম্যের বাংলায়; বৈষম্যের ঠাঁই নাই' স্লোগানে স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস মুখরিত করে তোলে শিক্ষার্থীরা।
আর্কিওলোজি বিভাগের শিক্ষার্থী বিএম সুমন বলেন, প্রশাসন কিভাবে এই হামলার অনুমতি দেয়, সেটার লজবাব চাই। পুলিশ কিভাবে ছাত্রদের উপর এভাবে গুলি চালাতে পারে, এর জবাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিতে হবে। সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার বুলেট কিভাবে নিরীহ ছাত্রদের উপর ছুঁড়তে পারে। যা কিছুই করুক, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারবে, এটা আমাদের সংবিধানে আছে। তাও পুলিশ কেন আমাদের উপর এভাবে হামলা চালালো। আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা সবসময় ছিল, আমরা আশা করি আইনও আমাদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে।
নৃবিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরা মীম বলেন, রবিবারের মধ্যে আমরা এই প্রক্টরের পদত্যাগ চাই। যদি তিনি পদত্যাগ না করেন আমরা আবারো প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করব। বারবার আমাদের উপর এমন হামলা আমরা মেনে নেব না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকীকে একাধিক কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এএফএম আব্দুল মঈন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হামলার পর হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের কে দেখে এসেছি। তারপরও তারা কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে আমার জানা নেই।