ঢাকার তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার দাবিতে অনড় অবস্থানে শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আগের দিনের মতো সড়ক ও রেলপথে অবরোধ না থাকলেও কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ক্লোজড ডাউন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ক্যাম্পাসে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করছে তারা।
আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের। তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিটি করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আজকের ক্লোজড ডাউন কর্মসূচির কারণে পুরো তিতুমীর কলেজ এলাকায় কড়া পুলিশি পাহারা লক্ষ্য করা গেছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে জলকামান ও টিয়ারশেল নিয়ে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আজ সকালে ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৯৭ থেকে এ আন্দোলন চলছে। গত ৩ মাস ধরে যত পেপারওয়ার্ক দরকার ছিল, তা করা হয়েছে। সরকার আমাদের ডেকেছে। তাদের আহ্বানে সম্মান রেখে অবরোধ থেকে সরে এসেছি।
গতকাল মহাখালীতে ট্রেনে হামলার ঘটনায় তারা লজ্জিত ও দুঃখ প্রকাশ করেন ব্রিফিংয়ে। দাবি করেন, ৬ কলেজ তাদের আন্দোলনের বিষয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে।
এ সময় জানানো হয়, গতকাল শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। তবে তারা ট্রেন চালিয়েছে। যারা ট্রেনে হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
প্রসঙ্গত, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ডাকা অবরোধ চলাকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রেন মহাখালী অতিক্রম করার সময় শিক্ষার্থীরা ট্রেনটিকে থামতে সিগন্যাল দেন। কিন্তু ট্রেনটি না থামিয়ে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইট ও পাথর ছোড়েন। তাতে ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে যায়। এতে ভেতরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে নারী-শিশুসহ অনেকেই গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত হয়।