চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তার মধ্যে এইচএসসি ও আলিমের ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৮০ জন পরীক্ষার্থী ৫ লাখ ১ হাজার ২৯৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণ বা রিভিউয়ের আবেদন করেছেন।
পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা বোর্ডে। আর খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন কম পড়েছে আলিম পরীক্ষার্থীদের।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৬ শিক্ষার্থী ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮০টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষার ৭ হাজার ৮১৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ২ হাজার ৭১৪ জন।
খাতা পুনর্নিরীক্ষণ আবেদনের পরিসংখ্যান হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে অধ্যাপক মো. আবুল বাশার বলেন, “এবার এইচএসসি ও আলিমের ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৮০ জন পরীক্ষার্থীর পক্ষ থেকে মোট ৫ লাখ ১ হাজার ২৯৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা হয়েছে।”
“কোনো কোনো শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ের খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। তাই আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর চেয়ে খাতার সংখ্যা বেশি,” যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে শুক্রবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কেপায়েত উল্লাহ বলেন, “কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৫ হাজার ৯০৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ভোকেশনাল, বিএম ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষার ৬ হাজার ৮২২টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।”
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “খাতা পুনর্নিরীক্ষণ শেষে আগামী ১৪ নভেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে।”
খাতা পুনর্নিরীক্ষণের প্রক্রিয়ার বর্ণনা করে তিনি বলেন, “পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে খাতা নতুন করে দেখা বা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। সব প্রশ্নের বিপরীতে পাওয়া নম্বর ঠিকভাবে যোগ করা হয়েছে কি না তা যাচাই করা হয়।”
প্রতি বছরই এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীরা তা পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ পান। ফল প্রকাশের পরের এক সপ্তাহ নির্ধারিত ফি দিয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনের সুযোগ থাকে। মূল ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করে শিক্ষা বোর্ডগুলো।