জুলাই বিপ্লবে যখন উত্তাল দেশ, তখন চলছিল এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই তখন রাজপথে, আন্দোলনে সক্রিয়। স্থগিত ছিলো বাকী পরীক্ষাগুলো।
গত ৫ আগস্টের পর, পরীক্ষাগুলো নেয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষার্থীদের একটি অংশের দাবির মুখে সাবজেক্ট ম্যাপিং-এর মাধ্যমে ফল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার ফল প্রকাশ হয়। পাসের হার কমেছে; তবে, বেড়েছে জিপিএ ফাইভ। শিক্ষাবিদদের কাছে প্রশ্ন ছিল, উচ্চশিক্ষায় এই পদ্ধতির ফল কী ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর বলেন, শিক্ষার্থীরা সাবজেক্ট ম্যাপিং-এর মাধ্যমে ফলাফলটা ফেলো। তবে এই ম্যাপিংটা একটু পরিষ্কার করা দরকার ছিলো বোর্ডের পক্ষ থেকে। কারণ- যে ফলাফলটা এসেছে, যারা বিশেষকরে আন্দোলন করছিলো, তাদের এই পদ্ধতি মনঃপূত নাও হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উচ্চ মাদ্ধমিক থেকে পরবর্তী যে উচ্চশিক্ষা, সেখানে ভর্তি পরীক্ষার একটা ব্যাপার আছে। ফলে, এক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং উচ্চশিক্ষায় খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলছেন, সাবজেক্ট ম্যাপিং-এর ফলে পুরাতন ফলাফলের ভিত্তিতে নতুন ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। তাই, উচ্চ মাধ্যমিকের দুই বছরে শিক্ষার্থী যথাযথ যোগ্যতা অর্জন করেছে কিনা সেটা যাচাই হলো না।
ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট ফাহিম মাশরুরের কাছে জানতে চাই, চাকরির বাজারে এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কোন প্রতিবন্ধকতা হবে কী?
উত্তরে তিনি বলেন, ক্যারিয়ারের সাথে স্কিলের যে অমিল রয়েছে, সেটির প্রভাব চাকরির বাজারে বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে, বেকারত্তের সমস্যা আরও বাড়বে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চাকরি দেয়ার সময়, এই ব্যাচের কথা বিশেষভাবে ভাববে এবং যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে পারে।
এ দুই বিশেষজ্ঞই বলেছেন, এই পদ্ধতির নেতিবাচক প্রভাব শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও চাকরি দাতাদেরও ফেস করতে হতে পারে।