মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের কিছু দলীয় ক্যাডারদের সমন্বয়ে উপজেলার অফিসারদের ব্লাকমেইল করে চাঁদাবাজি করার এটি বিশেষ চক্র গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই চক্রটি সাম্প্রতিক মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তথ্য পাওয়া যায় এরই অংশ হিসেবে প্রকৌশলীকে সামাজিক ও অফিশিয়ালি হেনস্থা করতে তার বিরুদ্ধে ভুয়া মানববন্ধন আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ঠাকুরের হাটে উপজেলা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে ৬৭ হাজার ৯৯০ টাকা ব্যায়ে একটি টয়লেট নির্মিত হবার কথা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় চক্রটি কয়েকবার ঠাকুরের হাটে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়েছেন যে সেখানে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার টয়লেট নির্মিত হবার কথা। উপজেলা প্রকৌশলী এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব কথায় স্থানীয়দের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার এই চক্রের সদস্য মহম্মদপুরের দেশ প্রিন্টার্স এর মালিক তরিকুল ও তার সঙ্গী ওবাইদুর, দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার সাংবাদিক এস আর এ হান্নান ও ধোয়াইলের ব্যবসায়ী হাফিজার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজেরা মানববন্ধনের ব্যানার প্রিন্ট করে এনে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষকে কাজের সম্পর্কে ভুল বুঝিয়ে কাজ বন্ধ করে দিতে উদ্ভুদ্ধ করেন এবং এর প্রতিবাদ স্বরুপ লাইনে দাড়াতে বলেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায় এই চক্রটি নিজেরাই মানববন্ধনের ব্যানার তৈরি করে নিয়ে এসেছিল এবং সাধারণ মানুষদেরকে ক্ষেপিয়ে ব্যানার সামনে ধরে ছবি তুলে চলে যান। পরে সেটিকে মানববন্ধন হিসেবে দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকা, লোকসমাজ ও সমকাল পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন," কতিপয় দুষ্কৃতিকারী পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণেদিত ভাবে সাংবাদিক পরিচয়ে এসে ব্যানার ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলে নিয়ে গেছে।
পরে প্রকৌশল অফিসের লোকজন এসে বুঝানোর পর ক্লিয়ার হয়েছে। মূলত একটা প্যাকেজে চারটি কাজ চারটি কাজ মিলে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ। তারমধ্যে টয়লেটের জন্য বরাদ্দ ৬৭ হাজার ৯৯০ টাকা। এটাকে ভুলভাবে বুঝিয়ে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা হয়েছিল। তাহলে এদের উদ্দেশ্য কি! সাংবাদিকদের কাজ কি বিভ্রান্তি ছড়ানো?" বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সালাম সাহেব বলেন," আসল ঘটনা জানার পর তাদেরকে ফোন দিলে তারা আর ফোন ধরে না, এবার আসলে আটকে রাখবো সবগুলোকে। এরা এলাকার সাধারন মানুষকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল।
আমরা এর তীব্র নিন্দা জানায়" এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের কয়েকজন অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন," এই চক্রটি বহুদিন ধরে বিভিন্ন অফিসে বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ার অফিসে ও পিআইও অফিসে চাঁদাবাজি করে আসছে। টাকা না দিলেই বেপরোয়া হয়ে উঠে। রাত হলেই মহম্মদপুর বাজারে দেশ প্রিন্টার্সের দোকানে বসে এই চক্রের আসর। এই বিষয়ে প্রশাসনের শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাদ্দাম হোসাইন বলেন," চক্রটি বহুদিন ধরেই খুবই বিরক্ত করছে। এদের চাহিদা পূরন করতে না পারলে অপপ্রচার ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। উপজেলা প্রকৌশলী বলেন কিছু সাংবাদিক আমার বক্তব্য না নিয়েই তাদেরমত মনগড়া বক্তব্য আমার নামে চালিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।