মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভায় প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল ওয়াদুদ। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন। ফলে থমকে যাওয়া পৌরসভার সকল কার্যক্রমের গতি ফিরেছে।
দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার মেয়র কার্যালয়ের চেয়ারে বসে প্রশাসক হিসেবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল ওয়াদুদ। পাশের আরেক চেয়ারে বসে আছেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান। আর কার্যালয়ের বাইরের বেঞ্চে বসে আছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক নারী জানান, মেয়র না থাকায় কয়েক বার করে তিনি পৌরসভায় এসে ফিরে গেছেন। তবে নতুন প্রশাসক তাকে সে কাজ করে দিয়েছেন।
জানা যায়, ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার এক দফা দাবির প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পরপরই কুমারখালী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান অরুনসহ আওয়ামী লীগপন্থী সকল নেতাকর্মীদের বাড়ি, দোকানপাট ও কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে আতঙ্কিত হয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন তারা। তাদের নামে কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী থানায় একাধিক মামলাও হয়েছে।
আরো জানা যায়, পৌরসভার মেয়র কার্যালয়ে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকায় ভেঙে পড়েছিল সকল কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়েন সকল শ্রেণির জনগণ। ফলে পৌরসভার কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, মেয়র না থাকায় সকল কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছিল। প্রশাসক যোগদান করায় পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) ও কুমারখালী পৌরসভার প্রশাসক মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, জরুরি ভিত্তিতে জলাবদ্ধতা নিরোসন, বর্জ অপসারণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সকলের অংশগ্রহণে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা গড়ে তোলা হবে। তিনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কার্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন। তবে কার্যালয়ে না আসলেও কার্যক্রম গুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে বলে জানান তিনি।