ওসমান হারুনী, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরে যমুনা বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধের উপর জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু মেশিনে খনন করে মাটি বিক্রি চলছে। মাটিবাহী মাহিন্দ্র ট্রাক্টর গাড়ী চাকায় ডেবে ও ফাকা হয়ে যাচ্ছে বাঁধের সিসি ব্লক। এতে বাধঁটি হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেনত মহল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের সিংভাঙ্গা এলাকার যমুনা বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধের উপর ফসলী জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু মেশিনে খনন করে মাটি বিক্রি চলছে দেদারছে। বালি মাটিবাহী ট্রাক্টর গাড়ী চাকায় ডেবে রাস্তাও ফাকা হয়ে যাচ্ছে সাড়ে চারশত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনার বামতীর সংরক্ষণ বাঁধের সিসি ব্লক। এতে স্থানীয়দের বসতভিটা ও ফসলী জমিসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়ছে।
যমুনা বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাঁধটি নির্মাণের ফলে ইসলামপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ অকাল বন্যা ও যমুনা নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে স্থানীয় একটি ভূমি দস্যু সিন্ডিকেট যমুনার বামতীরের বাঁধের সন্নিকটে জমির নিকট থেকে অবৈধ খনন যন্ত্র ভেকু মেশিন বসিয়ে মাটি গভীর খনন করে মাটি বিক্রি করছে। বাঁধের উপর দিয়ে আসা-যাওয়া মাটিবাহী ট্রাক্টর গাড়ী চাকায় ডেবে ও ফাকা হয়ে যাচ্ছে বাঁধের সিসি ব্লক। এতে জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ ফসলি জমি ও যমুনা তীর সংরক্ষণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধের উপর অবৈধ মাটিকাটা বন্ধ করতে স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাঁধের উপর অবৈধ ভেকু মেশিনে খনন করে মাটি বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম।
প্রশাসন যমুনা বামতীর সংরক্ষণ বাঁধ রক্ষায় প্রকল্পের বাঁধের পাশে খনন করে অবৈধ মাটি বিক্রি বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিবেন এটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।